কমলা খাওয়ার উপকারিতা | কমলার উপকারিতা সম্পর্কে না জানলে মিস করবেন

আমরা এই আর্টিকেলে কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলেচনা করব। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পরেন তাহলে কমলার উপকারিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা পেয়ে যাবেন।

কমলা খাওয়ার উপকারিতা


কমলা এর উপকারিতা 

রসে ভরপুর কমলার স্বাদ টক মিষ্টি। কমলা খেতে সাধারনত আমাদের সকলেরই ভাল লাগে।কমলা একটি জনপ্রিয় ফল যা পৃথিবীর সকল রাষ্টে পাওয়া যায়। কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে চিকিৎসকরা নানা মন্তব্য করেছেন। এই ফলের উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। 

চিকিৎসকরা জানান, কমলালেবুতে রয়েছে  ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ডায়েটারি ফাইবার ইত্যাদি। এই ফলের রসের পাশাপাশি খোসাও উপকারে আসে। নিচে এই সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:

আমাদের মধ্যে অনেকেরই উচ্চ রক্তচাপ আছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে স্ট্রোকসহ আর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। আর এই সমস্যা থেকে বাচার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজনঅ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কমলা খেতে পারি। কারণ কমলার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। 

তাছারা কমলালেবুতে থাকা পেকটিন  এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে

বর্তমানে সময়ে আমরা অনেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছি। চোখের সমস্যা দূর করার  জন্য কমলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। কমলা খেলে চোখের দৃষ্টি ভালো থাকে। এছারা কমলার মধ্যে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি থাকে। ভিটামিন-এ আমাদের রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন-সি আমাদের চোখের ছানি হওয়ার ঝুকি কমিয়ে ফেলে।

হৃদরোগ দূর করতে কমলা সহায়ক :

কমলাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। যেমন: পটাশিয়াম,  ভিটামিন সি, কোলিন এবং ডায়েটারি ফাইবার ইত্যাদি। যা অ্যাথমিয়া , স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের সম্ভবনাকে কমিয়ে দেয়। ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায়তা করে। এছাড়াও ভিটামিন-সি এর মাধ্যমে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

ওজন কমাতে কমলা

কমলা ওজন কমাতে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কমলার মধ্যে ফাইবার জাতীয় পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক। তাছারা এই ফলে ক্যালরির পরিমান্ও কম থাকে। 

 ছোলা খেলে কি ওজন কমে ?  জানতে ক্লিক করুন 

ক্যান্সার রোধ:

কমলার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফাইবার পাওয়া যায়। আর এই ফাইবার কোলন ক্যান্সার দূর করতে সহায়তা করে। কমলায় আলফা, বেটা ক্যারোটিন,  ফ্ল্যাভনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  সহ বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  যৌগ ও প্রচুর ভিটামিন থাকে  যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। 

কমলায় উচ্চমাত্রায়  ফ্ল্যাভনয়েড থাকে। আর এই ফ্ল্যাভনয়েড  ফুসফুস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আর তাই আমরা বলতে পারি ক্যান্সার প্রতিরোধে কমলা খাওয়ার উপকারিতা কম নয়।

হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে কমলার উপকারিতা

কমলা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কঠিন রোগগুলো দূর করে। কমলার মধ্যে থাকা ফাইবার মলকে নরম করে, মলত্যাগ প্রক্রিয়া সহজ করে ফেলে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যে ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

রক্তশূন্যতায় কমলা এর উপকারিতা:

কমলাতে আয়রন ও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। কমলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতার দূর করতে সাহায্য করে। তবে কমলার মধ্যে অল্প পরিমাণ আয়রন থাকলেও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। আর এই ভিটামিন সি শরীরের আয়রনের শোষন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই রক্তশূন্যতা দূর করতে কমলা এর উপকারিতা কম নয়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কমলার উপকারিতা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কমলার উপকারিতা অপরিসীম। বিজ্ঞানিরা গবেষণা করে দেখেছে যে, ফাইবার দ্রুত রক্তের শর্করা এবং গ্লাইকোসিলেটেড হিমোগ্লোবিন কমাতে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

ক্ষতস্থান নিরাময় করতে : 

কমলার একটি সাইট্রাস  জাতীয় ফল। আর এই সাইট্রাস  ক্ষত স্থান শুকাতে কাজ করে। 

ত্বক উজ্জ্বল রাখতে:

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কমলা এর উপকারিতা কম নয়। সকলেই চায় ত্বককে আকর্ষনীয় রাখতে। কমলার মধ্যে থাকা ভিটামিন-সি আপনার ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে আকর্ষনীয় করে তোলে। আবার কোমলায় থাকা ভিটামিন-সি ত্বকের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং ত্বকের কালো দাগ দূর করে। 

কিডনিতে পাথর তৈরি প্রতিরোধ করতে

কিডনিতে পাথর তৈরির জন্য দায়ি হলো সচেতনতা ও সঠিক খাদ্যভ্যাসের অভাব। সঠিক সময় এই পাথর সরাতে না পারলে রোগীর মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন-সি জাতীয় খাদ্য খেলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর কমলার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি পা্ওয়া যায়।

 আর পড়ুন



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url