গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়া যাবে কি | জানলে অবাক হবেন
আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়া যাবে কি? বা গর্ভাবস্থায় গাজর খেলে কি হয়? এটি নিয়ে চিন্তা করেন তাহলে আমাদের এই ব্লগটি আপনি পরতে পারেন। কারন আমরা এই ব্লগটিতে গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে আলচনা করব।
গর্ভাবস্থায় গাজর খfওয়ার উপকারিতা গুলো
গাজরের মধ্যে নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। এই সবজিটি মূলত কাঁচা ও রান্না উভয় ভাবে খেলেই আপনার গর্ভাবস্থায় অনেক উপকার হবে। নিচে তা দেওয়া হলো:
গর্ভাবস্থায় শিরায় টান লাগা প্রতিরোধ করেতে সহায়তা করে
বেশির ভাগ গর্ভবতী মহিলাই গর্ভাবস্থায় পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া বা শিরায় টান লাগা অনুভব করে থাকে। এগুলো গর্ভাবস্থায় সাধারন সমস্যা মাত্র। তারপরও এই সমস্যা গুলো খুব যন্ত্রনাদায়ক এবং অস্বস্তিকর হয়ে থাকে। এই সমস্যা গুলো দূর করার জন্য গাজর খা্ওয়া যেতে পারে। কারন গাজরে থাকা ফসফরাস গর্ভাবস্থায় পেশী গুলোকে যথাযথ ভাবে কার্য-কলাপে সাহায্য করে। ফলে গর্ভাবস্থায় শিরায় টান লাগার মতে সমস্যা দূর হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থাকালীন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
গর্ভাবস্থায় রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। কারন গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মা ও অনাগত সন্তানের নানা ধরনের ক্ষতি হ্ওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন গাজর খান তাহলে আপনার রক্তচাপের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
গর্ভাবস্থায় গাজর অথবা গাজরের রস বেশি খাওয়ার ঝুঁকিগুলি
যদিও গর্ভাবস্থায় গাজর খেলে তেমন বেশি ক্ষতি বা ঝুঁকি নেই। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমানে গাজর খেয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য ঝুঁকি থাকতে পারে। নিচে তা আলোচনা করা হলো:
১) বেশি পরিমানে গাজর খেলে আপনার অন্ত্রে অধিক মাত্রায় বিটা ক্যারোটিনের অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।
২) প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গাজর খেলে ক্যান্সার হ্ওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) সাধারনত গাজর কমলা বা লাল রংয়ের হয়ে থাকে। ফলে বেশি পরিমানে গাজর খেলে আপনার ত্বক হলুদ বা বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। কারণ গাজরে প্রচুর পরিমানে ক্যারোটিন থাকে।
৪) গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ থাকে। আপনি যদি মাএাতিরিক্ত গাজর খান তহলে আপনার শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভিটামিন-এ জমা হবে। আর এই অতিরিক্ত জমে থাকা ভিটামিন-এ গর্ভাবস্থায় বা গর্ভস্থ শিশুর জন্য মোটেও ভাল নয়। যা গর্ভস্থ শিশুর ভ্রূণের বৃদ্ধিতে এবং বিকাশ বাদা দিতে পারে।
৫) গাজর খা্ওয়ার পর অ্যালার্জি মতো রোগ দেখা দিতে পারে।
ছোলা খেলে কি ওজন কমে ? জানতে ক্লিক করুন
৬) গাজর খেলে বমি বমি ভাব ও মাথা ধরার মতো রোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থাকালীন সময় গাজর খেলে চিন্তা ভাবনা করে খেতে হবে।
৭) গর্ভাবস্থাকালীন সময় যদি আপনি পিত্ত থলির সংক্রমণে ভুগে থাকেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত গাজর খা্ওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৮) গর্ভাবস্থায় অধিক পরিমানে গাজরের রস খেলে মাথা ধরার মতো রোগ হতে পারে। আশা করি গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়া যাবে কি? বা গর্ভাবস্থায় গাজর খেলে কি হয় এটি নিয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়ার পরামর্শ গুলো নিচে দেওয়া হলো
১) মিষ্টি স্বাদ যদি আপনার পছ্ন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনি ছোট আকারের গাজর বেছে নিন। তাছারা আপনি খা্ওয়ার জন্য বড় গাজর গুলো বেছে নিতে পারেন।
২) খা্ওয়ার জন্য সব সময় টাটকা গাজর বেছে নেওয়া ভাল। গাজরটি যদি খুব সহজে ভাঙ্গা যায় তাহলে মনে করতে হবে গাজরটি টাটকা। এগুলোর স্বাদ অনেক ভাল ও মুচমুচে হয়।
৩) গাজর সাধারনত মূল জাতীয় সবজি। গাজরের মূল মাটির তলে থাকায় গাজরের মধ্যে মাটি লেগে থাকার সম্ভাবনা থাকে। তাই গাজরকে ভাল ভাবে ধুয়ে খেতে হবে।
৪) গাজরের ছাল সম্পূর্ণ ভাবে চাঁছা ভাল নয়। কারন গাজরের ত্বকে বেশিরভাগ পুষ্টিগুন থাকে।
৫) গাজরকে আপনি রান্না করে বা কাঁচা উভয় ভাবেই খেতে পারবেন। এগুলিকে আপনি পিউরি ব্যবহার করে, টুকরো করে কেটে বা ঝিরি-ঝিরি করে কুঁচিয়ে নিয়ে বিভিন্ন খাদ্যপদ হিসেবে রান্না করে খেতে পারেন।